নওগাঁ থেকে মাহবুবুজ্জামান সেতু(আজকের নারায়নগঞ্জ): জীবন যুদ্ধে পরাজিত হলেন সুবাস, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানতে হলো সুবাসকে।
অার কখনোই সুবাস পল্লী বিদ্যুতের ফেইস তুলতে যাবেন না, কারো বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ঘর ওয়্যারিং করতেও যাবেন না, বিচিত্রা অনুষ্ঠানের উপস্থাপনাও করবেন না, স্কুলের কমিটি নির্বাচনে অভিভাবক পদে কারো সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতাও করতে যাবেন না।
নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্টে অাহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুবাস কুমার (৩৮) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
সুবাস মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের (কদমতলী মোড়ের ইলেক্ট্রিশিয়ান) দূ্র্গাপুর গ্রামের ভূপেন্দ্রনাথের ছেলে।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, নিহত সুবাস পেশায় ছিলেন একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান।
এর পূর্বে তিনি সতিহাটে কাঁশা পিতলের দোকান করতেন।
বর্তমানে তার পরিবারে রয়েছে সম্প্রতি বাড়িতে পরে গিয়ে পা ভেঙ্গে যাওয়া এক স্ত্রী এবং ছোট্ট একটি মেয়ে।
উল্লেখ্য, সুবাস গত ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারে মৈনম ইউনিয়নের জ্যালাঘাটি নামক স্থানে বিদ্যুৎ এর মেইন লাইনের কোনো এক খুঁটিতে উঠে ফেইস তুলে দিচ্ছিলেন। ইতোমধ্যে হঠাৎ করে ওই লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে সুবাস বিদ্যুৎপৃষ্টে খুঁটির উপর থেকে পরে যায় । এতে করে তিনি মারাত্মকভাবে অাহত হন।
সুবাস কাজের লোক ছিলেন। এলাকায় ছিলো তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
অাহতাবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়।
পরবর্তিতে তাকে রেফার্ড করে রাজশাহী মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বুধবার সকালে মারা যায়।
তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে অাশে। গতকাল বুধবার বিকেলে তার মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌছালে সন্ধ্যায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।