আজকের নারায়নগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সোনা ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যা ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রোববার (১৬ জুলাই) মধ্যরাতে শহরের আমলা পাড়া থেকে মামুন ও মাসদাইর থেকে রত্না চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়। এদের একজজন প্রবীর হত্যায় প্ররোচনাকারী তৃতীয় পক্ষ এবং তাঁদের সহযোগি রত্না চক্রবর্তী। এরমধ্যে রত্না পিন্টুর গার্লফ্রেন্ড ও কথিত বড় ভাই মামুন।
এদিকে গ্রেফতার দুজনকে সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে আদালত ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রবীর ও পিন্টুর সাথে দ্বন্দ্বের শুরু হয়েছিলো রত্না চক্রবর্তীকে কেন্দ্র করে। আর এ সমস্যা সমাধান করে দেয়ার জন্য প্রবীর ও পিন্টুকে নিয়ে মধ্যস্থতার সুযোগে ফায়দা লুটতে এগিয়ে আসেন কথিত বড় ভাই মামুন। সে আমলা পাড়া এলাকার মৃত মহসিন মোল্লার ছেলে।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রত্না জানিয়েছে প্রবীর ঘোষের আগেও ঠাণ্ডা মিয়ার বাড়িতে আরও একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এখানে এক বছর আগে নিখোঁজ স্বপনকে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে শীতলক্ষ্যা ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিলো। রত্নার কাছ থেকে নিখোঁজ স্বপনের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২১ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ৯ জুলাই প্রবীর ঘোষের ৫ খণ্ডে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরের দিন একই বাড়ির পাশ্বর্তী আরেকটি বাড়ির ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে মরদেহের শেষাংশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আটক করা হয় পিন্টু দেবনাথের কর্মচারি বাপন ভৌমিক ওরফে বাবুকে। বাবুর স্বীকারোক্তিতে আটক করা হয় পিন্টু দেবনাথকে। পরে পিন্টুর দেখানো মতেই নিখোঁজের ২১ দিন পর উদ্ধার করা হয় প্রবীর ঘোষের মরদেহ।