মো:কামরুল ইসলাম: প্রবৃত্তির দাসত্ব, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুত্বকে পরাভূত করার শিক্ষা নিয়ে আবারও এসেছে কোরবানির ঈদ। মহান আত্মত্যাগ, আত্মসমর্পণ এবং নিজেকে উৎসর্গ করার মহিমায় উদ্ভাসিত মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। কাল সোমবার ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক অনাবিল আনন্দ।
গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ শ্রেণির প্রাণী দ্বারা কোরবানি করা যায়। কোরবানিকৃত পশুর তিন ভাগের এক ভাগ গরিব-মিসকিন, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হয়। আবার পুরোটাই বিলিয়ে দেওয়া যায়। এদিকে ৯ জিলহজ ফজর নামাজের পর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা ওয়াজিব। ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ অর্থ: ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’ মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজ তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে।
সালাত ও আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কোরবানির পরমানন্দ থেকেই উদযাপিত হয় ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ছাড়াও ১১ ও ১২ তারিখ কোরবানি করা যায়। ইসলামে কোরবানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কুরআনের সুরা কাউসারে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে ‘অতএব আপনার পালন কর্তার উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’
তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। অর্থ: `আল্লাহ তাআলা আমাদের ও আপনার নেক আমল তথা ভাল কাজগুলো কবুল করুন’