সোনারগাঁ প্রতিনিধি: সকল কাজেই এমপির ডিও লেটারে হয় বলে তিনি ডিও লেটারের এমপি বলে সকলের কাছে পরিচিত। এমন কোনো কাজ নেই তার ডিও লেটারে হয়নি। নিয়োগ থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন এমনকি মহাসড়কের ফুটওভার ব্রিজ নির্মানেও নাকি তিনি ডিও লেটার দিয়েছেন বলে দাবি করেন জাপার নেতারা। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের দুইবারের ডিও লেটারের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। এ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে মনোনয়ন না দিয়ে তার চাচা মরহুম মোশারফ হোসেনকে মনোনয়ন দেয়। পরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামীলীগ জোট বেধে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দলীয় নির্দেশে মোশারফ হোসেনের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেয়। এ আসনে জাতীয় পার্টি বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি আবারো জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগ। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সিংহ প্রতীকে মহাজোটের লাঙ্গলের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। নির্বাচনের দুইদিন আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালায়। পরে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। দ্বিতীয় বারের মতো এমপি হন তিনি।
এবার ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগত টিকেট না পাওয়া বিপাকে পড়েন জাতীয় পার্টির দুইবারের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। জোটগত টিকেট না পেলেও জাতীয় পার্টির দলীয় লাঙ্গল প্রতীকের মনোনয়ন পান তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সঙ্গে ৭৬ হাজার ৯৯৭ ভোটের ব্যবধানে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হন।
জাতীয় পার্টির কয়েক জন নেতাকর্মী বলেন, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার ডিও লেটারে সোনারগাঁয়ের সকল উন্নয়ন হয়েছে। যে কেউ ডিও লেটার চাইলে তিনি দিতেন।
সাধারণ জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাতীয় পার্টির এমপি খোকাকে তো লোকজন চিনতো না। দুই দুই বার ফাও ফাও সোনারগাঁয়ে এমপি হয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে এবার তার জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা। সে হিসেবে ভোট বেশিই পেয়েছেন।
তারা আরও বলেন, সকল কাজই নাকি এমপির ডিও লেটারের মাধ্যমে হয়েছে। এমন কথা আমরা আগে শুনিনি।